রক্তের কোন গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি, জানাল গবেষণা
স্ট্রোক মানুষের জীবনের জন্য একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক হতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোকের ঝুঁকি নির্ভর করতে পারে আপনার ব্লাড গ্রুপের উপর। অর্থাৎ, কিছু ব্লাড গ্রুপের মানুষদের স্ট্রোকের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি, আবার কিছু ব্লাড গ্রুপের মানুষ এই ঝুঁকি থেকে কিছুটা সুরক্ষিত থাকে।
কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি?
গবেষণায় জানা গেছে, 'এ' ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। বিশেষ করে, কমবয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ গ্রুপের লোকদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে এ ব্লাড গ্রুপের মানুষের রক্তে জমাট বাঁধার প্রবণতা অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় বেশি, যা স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।
এ গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকার কারণ:
এ গ্রুপের রক্তে এমন কিছু প্রোটিন থাকে যা রক্তে জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়। রক্তের এই জমাট বাঁধা হলে ব্রেনে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা স্ট্রোকের কারণ হয়।স্ট্রোকের ঝুঁকি - কারা রয়েছেন সেফ জোনে?
'ও' ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিরা কিছুটা নিরাপদ জোনে রয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ও গ্রুপের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রক্তের জমাট বাঁধার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম। এ কারণে, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় কিছুটা কম।
ও গ্রুপে সুরক্ষিত থাকার কারণ:
ও গ্রুপের রক্তে কিছু নির্দিষ্ট প্রোটিনের অভাব থাকার কারণে, রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কম থাকে। এতে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম হয়, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।স্ট্রোকের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণার সংক্ষিপ্ত সারমর্ম
গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্ট্রোকের ঝুঁকি কেবলমাত্র ব্লাড গ্রুপের উপর নির্ভর করে না। জীবনধারা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই সঠিক জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
যেহেতু ব্লাড গ্রুপ পরিবর্তন করা যায় না, তাই স্ট্রোক প্রতিরোধে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন:
- স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
- নিয়মিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা
রক্তের গ্রুপ স্ট্রোকের ঝুঁকির উপর প্রভাব ফেলে, তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়। সঠিক জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। সুতরাং, নিজেকে এবং পরিবারকে সচেতন রেখে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।