আসল সোনা চেনার উপায়, সোনার ধরন এবং ভালো রাখার টিপস
আসল সোনা চেনার উপায়
সোনা কেনার সময় অনেকেই আসল-নকল নিয়ে চিন্তিত থাকেন। আসল সোনা চেনার কিছু সহজ উপায় হলো:
- ব্যুরো অফ স্ট্যান্ডার্ড স্ট্যাম্প: সোনার গয়নার ভেতরে বা গায়ে “BIS” চিহ্ন থাকলে সেটি আসল সোনা।
- প্রামাণ্যতা পরীক্ষা: আসল সোনার গহনার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মান থাকা প্রয়োজন। সাধারণত, ২৪ ক্যারেট সোনা সবচেয়ে খাঁটি।
- চুম্বক পরীক্ষা: সোনা চুম্বক টানে না। সোনাকে চুম্বকের কাছে ধরলে টানলে তা আসল নয়।
- গুনমান পরীক্ষায় যাচাই: কৃত্রিম কেমিক্যাল দিয়ে পরীক্ষা করলে আসল সোনা তার রঙ বা গঠন পরিবর্তন করে না।
সোনা কয় ধরনের হয়?
সোনা প্রধানত ক্যারেট অনুযায়ী ভাগ করা হয়:
- ২৪ ক্যারেট সোনা: সবচেয়ে খাঁটি, ১০০% সোনা। সাধারণত অলংকারে ব্যবহৃত হয় না কারণ এটি নরম।
- ২২ ক্যারেট সোনা: ৯১.৬% খাঁটি। এটি অলংকারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়।
- ১৮ ক্যারেট সোনা: ৭৫% খাঁটি। এর সঙ্গে তামা বা রুপার মিশ্রণ থাকায় এটি তুলনামূলক শক্ত।
- ১৪ ক্যারেট সোনা: ৫৮.৩% খাঁটি। এই ধরনের সোনা সাধারণত বিদেশে গহনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সোনা ভালো রাখার উপায়
সোনা অনেক সংবেদনশীল, তাই এটি ভালো রাখার জন্য কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত:
- রোদের সংস্পর্শ এড়ানো: সরাসরি সূর্যের আলোয় সোনার গহনার রঙ ফিকে হতে পারে।
- জল এড়িয়ে চলা: সোনা পানিতে রাখলে এর উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে, বিশেষত নোনা জলে।
- প্রতিদিন পরিষ্কার করা: হালকা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা যায়।
- বক্সে সংরক্ষণ: আলাদা আলাদা বক্সে রেখে দেয়ার ফলে স্ক্র্যাচ পড়া থেকে সুরক্ষিত থাকে।
সোনা সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
পৃথিবীর প্রাচীনতম ধাতু: সোনা মানব ইতিহাসের প্রথম আবিষ্কৃত ধাতুগুলির মধ্যে একটি। এটি প্রায় ৫০০০ বছর আগে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
খাঁটি সোনা কখনো মরিচা ধরে না: খাঁটি সোনা পরিবেশগত প্রভাব থেকে অবাধ, তাই এটি মরিচা ধরে না বা জং ধরে না।
পৃথিবীতে সোনার পরিমাণ সীমিত: বিজ্ঞানীদের মতে, সমগ্র পৃথিবীর মাটির মধ্যে যে পরিমাণ সোনা আছে, তা দিয়ে কেবল একটি ২০.৭ মিটার আকারের কিউব তৈরি করা সম্ভব।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সোনা: প্রাচীন মিশর এবং চীনাদের মতে, খাঁটি সোনা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়তা করতে পারে, এবং কিছু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এখনো স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়।
অলিম্পিক মেডেলে আসল সোনা নেই: বেশিরভাগ আধুনিক অলিম্পিকের সোনার মেডেল আসলে খাঁটি সোনা নয়; সেগুলি রৌপ্য দিয়ে তৈরি এবং উপরে স্বর্ণের পাত দেওয়া থাকে।